ব্যাংকের ঋণ গ্রহণ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

যখনই আমাদের টাকার প্রয়োজন হয় তখনই আমরা ব্যাংকের দৌড়গোড়ায় যাই ব্যাংক ঋণ গ্রহণের জন্য। অনেক সময় মনে করা হয়, ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করতে হলে অনেক টাকা ফি হিসেবে দেওয়া লাগে। কিন্তু তা নয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক “Master Circular on Schedule of Charges" নামে ১০ জুন ২০২১ তারিখে বিআরপিডি সার্কুলার ১১ প্রকাশ করে যেখানে ব্যাংকের ঋণ সংক্রান্ত সকল তথ্য সন্নিবেশিত করেছে।

• ঋণ প্রসেসিং ফি কত? (Loan Processing Fee)

ঋণ প্রসেসিং ফি হিসেবে ৫০.০০ লক্ষ টাকা পর‌্যন্ত ঋণের ক্ষেত্রে মোট মঞ্জুরীকৃত ঋণের সর্বোচ্চ ০.৫০% আদায় করতে পারবে। তবে এর সর্বোচ্চ পরিমাণ কত হবে তা ও বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারণ করে দিয়েছে। তা হলো ১৫,০০/- টাকা। অর্থাৎ মঞ্জুরীকৃত ঋণের ০.৫০% ১৫০০০/- টাকার বেশি হবে না।

উদাহরণ দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করছি। যদি আপনি ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা ঋণ গ্রহণ করেন তাহলে আপনাকে সর্বোচ্চ (৫,০০,০০০*০.৫০%) =  ২,৫০০/- টাকা ঋণ প্রসেসিং বাবদ ব্রাংককে দিতে হবে।

আবার যদি আপনি ৫০.০০ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন তবে লোন প্রসেসিং ফি (৫০,০০,০০০*০.৫০%) = ২৫,০০০/- টাকা হলেও আপনাকে মাত্র ১৫,০০০/- টাকা ঋণ প্রসেসিং ফি বা লোন প্রসেসিং ফি বাবদ ব্যাংককে দিতে হবে।

• ঋণ আবেদন ফি কত? (Loan Application Fee)

বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার মতে ঋণ আবেদন ফি নামে ব্যাংক কোনো ফি আদায় করতে পারবে না।

• বিশেষ কয়েকটি খাতে ঋণ প্রসেসিং ফি?

কটেজ, মাইক্রো, ক্ষুদ্র, ও মাঝারি এন্টারপ্রাইজ এবং কৃষি খাতে পুনঃতফসিলিকরণ বা পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে ঋণ প্রসেসিং বা পুনঃতফসিলিকরণ বা পুনর্গঠন ফি (Loan Processing/ Reschedule/ Restructure Fee) নামে কোন ফি/ চার্জ/ কমিশন আদায় করা যাবে না। তবে সিএমএসএমই ও কৃষি খাত ব্যাতীত অন্যান্য খাতে ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ বা পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে পুনঃতফসিলিকরণ বা পুনর্গঠন ফি (Reschedule/ Restructure Fee) বাবদ সর্বোচ্চ ০.২৫% আদায় করা যাবে। তবে এর পরিমাণ ১০,০০০/- টাকার অধিক হবে না।

ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে ডকুমেন্টেশন ফি (Documentation Fee), সিআইবি চার্জ (CIB Charge), স্ট্যাম্প চার্জ (Stamp Charge) এবং আইনী ও জামানত মূল্যায়ন ফি (Legal and Valuation Fee) প্রকৃত ব্যয়ের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে।